নিজস্ব প্রতিবেদক ::
গত চৌদ্দ বছরে চকরিয়ায় ১ টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নে ম্যালেরিয়া রোগী সনাক্ত হয়েছে ৮হাজার ৩ শত ৮২ জন। ২০০৮ সাল থেকে ২০২১ সাল সমীক্ষায় ধরা পড়ে এসব তথ্য। বছরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সনাক্তের বছর হলো ২০১১ সাল। এ বছর সনাক্ত হয় ১১৭৫ জন রোগি, সর্ব নিম্ন সনাক্তের বছর ২০২১ সাল। বছরটিতে সনাক্ত হয় মাত্র ৯৪ জন রোগি। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের তত্বাবধানে ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচি ২০০৭ সাল থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “একলাব”। ” উদ্ভাবনী কাজে লাগাই ম্যালেরিয়া রোধে জীবন বাচাই” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মোহনায় “একলাব’র আয়োজনে ‘মাল্টি স্টেক হোল্ডার কো-অডিনেশন মিটিং’-এ এসব তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনটি প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান।
সকাল ১০ টায় অনুষ্টিত অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু, মহিলা চেয়ারম্যান জেসমিন হক চৌধুরী জেসি, কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন, হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মেহেরাজ, বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান ছালেকুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন দত্ত।
অনুষ্টানে বক্তারা বলেন, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব, কিন্তু নির্মূল করা সম্ভব হবেনা। বর্তমানে চকরিয়ায় ম্যালেরিয়া রোগ ৯০ ভাগই প্রতিরোধে এসেছে। বাকি ১০ ভাগ প্রতিরোধ করতে সচেনতাই বাড়াতে হবে। বক্তারা বলেন, একলাব কর্তৃক চকরিয়ায় প্রদত্ত কিটনাশকযুক্ত মশারি ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে, এটি অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মশারির ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে ম্যালেরিয়া একেবারে প্রতিরোধ করা যাবে। অনুষ্টানের সন্ঞালক মাহবুবুর রহমান তার সূচনা বক্তব্যে গত চৌদ্দ বছরে চকরিয়ায় ১টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নে ম্যালেরিয়া রোগের শনাক্তের বিবরণ তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, ২০০৮ সালে সনাক্ত হয় ৮৯৮জন, ২০০৯ সালে সনাক্ত হয় ১২৬০জন, ২০১০ সালে মনাক্ত হয় ১০৫৪ জন, ২০১১ সালে সনাক্ত হয় ১১৭৫ জন, ২০১২ সালে সনাক্ত হয় ৬২২ জন, ২০১৩ সালে সনাক্ত হয় ৫৩০ জন, ২০১৪ সালে সনাক্ত হয় ১০৬৬ জন, ২০১৫ সালে সনাক্ত হয় ৬৭৩ জন, ২০১৬ সালে সনাক্ত হয় ৩২০ জন, ২০১৭ সালে মনাক্ত হয় ২৮১ জন, ২০১৮ সালে সনাক্ত হয় ১৭০ জন, ২০১৯ সালে সনাক্ত হয় ১৬২ জন, ২০২০ সালে সনাক্ত হয় ৭৭ জন ও সর্বশেষ ২০২১ সালে ম্যালেরিয়া রোগি ধরা পড়ে মাত্র ৯৪ জন। বছরের সর্বোচ্চ সনাক্ত ১১৭৫ থেকে নেমে বর্তমানে সর্ব নিম্ন সনাক্ত ৯৪ তে নেমেছে। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের তত্বাবধানে “একলাব” ২০০৭ সাল থেকে ‘ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন করছে। মাহবুবুর রহমান আরো বলেন, একলাব এ প্রকল্প ছাড়া বিভিন্ন সচেতনতামুলক কর্মসূচিও বাস্তবায়ন করে আসছে।
প্রকাশ:
২০২২-০৫-১৭ ২০:০৭:৩৪
আপডেট:২০২২-০৫-১৭ ২০:২০:২৪
- চকরিয়ায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
- ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে চকরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাথে একটেবিলে বসতে চায়
- চকরিয়ায় চিংড়িঘের দখল নিয়ে দু-গ্রুপে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১, অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসী আটক
- চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান
- কিশলয় শিক্ষা নিকেতন স্কুলে বিলুপ্ত কমিটির স্বাক্ষর নিয়ে বিল ভাউচার করার অভিযোগ
- শীতের কম্বল দিতে বেড়িয়ে পড়েন চকরিয়ার মানবিক ইউএনও আতিকুর রহমান
- চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি মেম্বারসহ আহত ৪
- কক্সবাজার সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকতার চৌধুরী
- পেকুয়ায় রব্বত আলী পাড়া সড়কে গাড়ি চলে না ২০ বছর!
- চকরিয়ায় বাস চাপায় বৃদ্ধ নিহত
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণরর মামলার অন্যতম আসামি ফারুককে গ্রেফতার করেছে র্যাব
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে ৭ জন গ্রেফতার, ৩ জন জেলহাজতে
- জমজম হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ডাক্তারের বক্তব্য
- খুটাখালীতে শতাধিক পরিবারে শীতবস্ত্র বিতরণ
- চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান
- সঙ্গী হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত চকরিয়ায়
- পেকুয়ায় রব্বত আলী পাড়া সড়কে গাড়ি চলে না ২০ বছর!
- ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে চকরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাথে একটেবিলে বসতে চায়
- চকরিয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের উদোগে নৌযান মালিক ও সারেং দের নিয়ে কর্মশালা
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণরর মামলার অন্যতম আসামি ফারুককে গ্রেফতার করেছে র্যাব
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবকে বৈষম্য মুক্ত করতেই হবে
- নাইক্ষ্যংছড়িতে হতদরিদ্রদের মাঝে বিজিবির শীতবস্ত্র বিতরণ
পাঠকের মতামত: